ত্রাণ বিলি নিয়ে সংঘর্ষ

ত্রাণ বিলি নিয়ে সংঘর্ষ

লকডাউনে মানুষকে ঘরবন্দি করে রাখতে সরকারের তরফে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে। এবার সেই ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষে উত্তাল হল কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকা। অভিযোগের তির তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। রবিবার গভীর রাতে ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাচ্চি সড়ক এলাকায় এলোপাথাড়ি পথ ছোঁড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশকিছু দোকান, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি। এমনকী পিস্তল নিয়ে দাপাদাপি চলে বলেও অভিযোগ। ছোঁড়া হয় বোমাও। গোটা ঘটনায় দুপক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগগ্য ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবরপ, ত্রাণ বিলি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। অভিযোগ, ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ বিলি করছিলেন প্রয়াত মুন্না ইকবালের মেয়ে শাবা ইকবালের অনুগামীরা। আর তাতে ভিড় জমে যায়। প্রতিবাদ করায় ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আখতারি নিজামির ছেলে ববির গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। অভিযোগ, মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গার্ডেনরিচ এলাকা। পুলিশের বিশাল বাহিনী কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বন্দর এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামস ইকবাল। তিনি প্রয়াত তৃণমূল নেতা মুন্না ইকবালের ছেলে। পাশের ওয়ার্ড ১৩৫। সেখানে কাউন্সিলর তৃণমূলের আখতারি নিজামি। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, আখতারির ছেলে ববি বকলমে মায়ের হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি, মুন্না ইকবালের মেয়ে সাবা ইকবাল ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে টিকিট পেতে চান। তাই বেশ কয়েক মাস ধরেই আখতারির ওয়ার্ডে বিভিন্ন ধরনের জনসংযোগমূলক কাজ করছেন তিনি। তা নিয়ে বেশ কয়েকবার ববি এবং সাবার অনুগামীদের মধ্যে বচসা, ছোটখাটো মারপিট হয়েছে।

সাবা ইকবালের অভিযোগ, “আমরা খাবার এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলাম। সেই ত্রাণ বিলি করতে বাধা দেন ওখানকার কাউন্সিলরের ছেলে। রীতিমতো আগ্নেযাস্ত্র নিয়ে তাঁর লোকজন হাজির হয়। বোমা ছোঁড়েন।” অন্যদিকে, আখতারি নিজামির ছেলে ববির দাবি, বারবার নিষেধ করা সত্বেও ভিড় জমিয়ে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছিল। প্রতিবাদ করতেই ওরা অশান্তি ছড়ায়। বোমাবাজিও করে। এদিকে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে। সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।



Always updated & always truth

Post a Comment

0 Comments